পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের নতুন একটি উপধরনে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে সোমবার (৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনকে পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৬০ জন।
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ওইসব দেশে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থার রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের দেহে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এই সময়ে করোনায় কারও প্রাণহানি হয়নি।
সৌদি আরবগামী ওমরাহ বা ভ্রমণ ভিসাধারীদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে মেনিনজাইটিস টিকা গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার (২৬ জানুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় (২২ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ২৩ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ মাসের ২৩ দিনে ডেঙ্গুতে ১৩৩ জনের মৃত্যু হলো। অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ বছর এক দিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বাংলাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ১ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত) দেশে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে (শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়) বাংলাদেশে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জন নিহতের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর ৫০ শতাংশই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। এরপর বেশি রোগী রয়েছে চট্টগ্রাম ও বরিশালে।
বাংলাদেশে এ বছরও দেশজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলো সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে ক্রমবর্ধমান রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।